Academy
তথ্য-১তথ্য-২
প্রায় ২০০ বছরের শাসন, বাংলার টাকা-পয়সা অন্য দেশে পাচার করা।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তৎকালীন কুসংস্কার দূরীকরণে সমাজ সংস্কারকদের অবদান।

তথ্য-১ দ্বারা কোন শাসনব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago
Ans :

তথ্য-১ দ্বারা ইংরেজ শাসনামলকে (১৭৫৭-১৯৪৭) ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইংরেজ শাসনামল দুটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকাল (১৭৫৭-১৮৫৮) এবং দ্বিতীয় অংশ ব্রিটিশ শাসনকাল (১৮৫৮-১৯৪৭)। প্রায় ২০০ বছরের এ শাসনকালকে ঔপনিবেশিক যুগ বলা হয়ে থাকে। এ সময়কালে বাংলা থেকে প্রচুর সম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার হয়ে যায়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর প্রায় ১০০ বছর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসনের নামে বাংলায় শোষণ চালাতে থাকে।

১৮৫৭ সালে ইংরেজ অধ্যুষিত ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে সিপাহিরা বিদ্রোহ করে। এটি ছিল ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম। এ সংগ্রামে সিপাহিরা পরাজিত হয়। ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাসের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসন ক্ষমতা নিজ হাতে তুলে নেয়। তখন গোটা ভারত ছিল ব্রিটেনের উপনিবেশ অর্থাৎ শোষণের ক্ষেত্র। প্রায় ১০০ বছর শেষে ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশের মানুষ ব্রিটিশদের অধীনতা থেকে মুক্তি পায়।
অতএব বলা যায়, উদ্দীপকে তথ্য-১ দ্বারা ইংরেজ শাসনব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

2 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...